December 7, 2024, 7:30 am
আরিফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়ন থেকে ৪ দিন পূর্বে সেনাবাহিনীর গাড়ির মত গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া যুবদল নেতা শাহিনুর ঢালীর খোজ পেতে অসহায় স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার সকালে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আনুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর একসরা গ্রামের ফজলুর রহমান ঢালীর ছেলে শাহিনুর ঢালীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার লাকী সিজারের মাধ্যমে ভূমিষ্ট ১০ দিনের সন্তান, বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি (৭৫) ছফেদা বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্বামী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। অতি বৃষ্টিতে এলাকার ফসল ক্ষেত প্লাবিত হলে তিনি এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে একসরা খাল কেটে ২০০০ বিঘা জমির পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেন। খালের মধ্যে ১৩ একর জমি মৃত: আবুল কালামের ছেলেরাসহ ৮ জন ডিসিআর নিয়ে বাঁধ দিয়ে পয়ঃ নিস্কাশনে বাধার সৃষ্টি করেন। প্রতিপক্ষ সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে গত ১১ আগষ্ট তাকে আটক করা হয়। এরপর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসির পর অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্বামী শাহিনুর ভূমিহীনদের পক্ষ নিয়ে মহামান্য হাই কোর্টে মামলা পরিচালনা করে আসছে। মামলাটি চলমান। অপরদিকে লাকীর পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চাচা মৃতঃ মতিয়ার রহমানের ছেলে মোস্তাক ঢালীর গোলযোগ রয়েছে। মোস্তাক থানায় অভিযোগ করলে কাল শনিবার দিন ধার্য রয়েছে। কিন্তু মোস্তাক ও তার মা রওশনারা থানাকে ওভারলুক করে আটকের কাজ করিয়েছে দাবী করে বলেন, থানায় অভিযোগের পরে প্রতিপক্ষ মাছ ধরতে ও ধান কাটতে চাইলে তার স্বামী থানায় বসাবসির পর রায় পেয়ে সকলকে মাছ ধরা ও ধান কাটতে অপেক্ষা করতে বলেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ২৮ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে বউ বাজার থেকে তাকে সেনা বাহিনীর গাড়ির মত একটি পিকআপ গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে এখনো তারা তার স্বামীর কোন সঠিক খোজ পাননি বলে জানান শাহিনুরের স্ত্রী। তারা আশাশুনি, সাতক্ষীরায় বারবার খোজ নিয়েছেন কিন্তু সন্তোষজনক কোন তথ্য পাননি। বৃদ্ধা মা ছেলের ১০ দিনের সন্তানকে বুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার সন্তান অপরাধী হলে থানা পুলিশ, আদালতে দেওয়া হোক। না হলে ছেড়ে দেওয়া হোক। আমরা বুকের ধনকে চোখে দেখতে চাই।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক রুহুল কুদ্দুছ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, শাহীন ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কর্মী হিসাবে দল তার প্রকৃত তথ্য জানতে চায়। অপরাধী হলে আইন আদালতে দেয়া হোক, অপরাধ না করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। ৪/৫ দিন তার সন্ধান মিলছেনা, দল ও তার পরিবারের সদস্যরা তার সন্ধান পেতে চায়।
Leave a Reply