November 11, 2024, 11:36 am
শাহ জাহান আলী মিটন, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার দেবহাটার জামায়াতের রোকন আনারুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক ও তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ৫৪ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে নিহত আনারুল ইসলামের ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলার আবেদন করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে দেবহাটা থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। অন্যদিকে শিবির নেতা হত্যার ঘটনায় ৭নং আমলী আদালতে সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৬ জনের নামে পৃথক আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের মৃত এজাহার আলী গাজীর ছেলে মো. শহর আলী গাজী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর দায়ের করা অভিযোগ এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
১নং আমলী আদালতে নিহত আনারুল ইসলামের হত্যা মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন-তৎকালীন এএসপি কালিগঞ্জ সার্কেল মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস, এসআই জিয়াউল হক, শেখ আলী আকবর, তপন কুমার সিংহ, ইউনুস আলী গাজী, পিএসআই তানভীর হাসান, এএসআই এফ এম তারেক, এএসআই মদন মোহন অধিকারী, কনস্টেবল দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর, গৌতম সাহা, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, ইসমাইল, মাহাফুজুল হক, আবু জাফর, শহিদুল, রেজাউল,ইব্রাহীম, শাহ জাহান, আবুল হাসেম, হাদিস উদ্দিন, আ: মজিদ, দলিল উদ্দিন, নুর ইসলাম, মনজুরুল, মেহেদী, দেবহাটা গ্রামের নজরুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, মোমিন গাজী, সাংবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান, নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, নংলা গ্রামের মাহমুদুল হক লাভলু, ঘোনাপাড়া গ্রামের সামছুর রহমান, মনতেজ, হাবিবুল্লাহ গাজী, মোস্তফা বিশ্বাস, মাহমুদ গাজী, রমজান গাজী, ছুটিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ, নওয়াপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মনি, এবাদুল গাজী, সিদ্দিক গাজী, মাঝের আটি গ্রামের আকবর আলী, নাজমুস শাহাদাত (নফর বিশ্বাস), জারিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের কিলার কামরুল (কেটো কামরুল) এবং দেবহাটার কোমরপুর গ্রামের আবু মুসা। মামলার এজাহারে উলি।লখিত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি আনারুল ইসলামকে তার ঘের থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড. এ.টি.এম বাসারুতুল্লাহ আওরঙ্গী বাবলা ও এড. হাফিজুর রহমান।
অন্যদিকে ৭নং আমলী আদালতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাখরা গ্রামের মৃত এজাহার আলী গাজীর ছেলে মো. শহর আলী গাজীর দায়ের করা অভিযোগে বর্ণিত আসামীরা হলেন সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি এনামুল হক, ডিবি প্রধান আব্দুল হান্নান, এসআই আব্দুল মালেক, এসআই আবুল কালাম, ভোমরার মৃত সোনা গাজীর ছেলে ওহিদুল ইসলাম, ভোমরা দাসপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, হাড়দ্দহার মৃত বাদল গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম গাজী, মৃত মোহম্মদ মোল্লার ছেলে আব্দুল গনি, পদ্মশাখরার মৃত আব্দুর রহিম গাজীর ছেলে মফিজুল ইসলাম, খানপুরের নজরুল ইসলামের ছেলে ইব্রাহিম খলিল, চৌবাড়িয়ার মফিজ উদ্দীন সরদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার সরদার, আব্দুল গনির ছেলে মোশারফ হোসেন, পদ্ম শাখরার মৃত এমাম বক্স গাজীর ছেলে রেজাউল ইসলাম, ভোমরার মৃত মোকসেদ গাজীর ছেলে আনারুল ইসলাম গাজী, লক্ষ্মীদাড়ীর মৃত কাদের মোল্লার ছেলে জালাল উদ্দীন, হাড়দ্দহার আব্দুস সামাদ সরদারের ছেলে খলিলুর রহমান, হাড়দ্দহার আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে তরিকুল ইসলাম, হাড়দ্দহার মৃত নেছার উদ্দীনের ছেলে এমাদুল ইসলাম, পদ্মশাখরার মৃত আব্দুর রহিম বক্সের ছেলে শহীদুল ইসলাম, ভোমরার আবু শেখের ছেলে আনসার আলী, পদ্মশাখরার সায়েদ ফকিরের ছেলে আবু বক্কর ফকির, ভোমরার আনসার আলীর ছেলে ইসমাঈল হোসেন, ভোমরার হারু কাপালীর ছেলে সুবাস ডাঃ, লক্ষ্মীদাড়ীর মৃত কাদের মোল্লার ছেলে জালাল মোল্লা, বিজয় কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে হারু ঘোষ, পদ্মশাখরার রমজান গাজীর ছেলে আব্দুল গফুর গাজীসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জন।
বাদী আদালতে দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১ হতে ৬নং আসামী একই চেইন অফ কমান্ডের অর্ন্তভূক্ত এবং ৭ হতে ২৬নং আসামী হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং পুলিশকে সরজমিনে সাহায্য সহায়তাকারী ব্যক্তিবর্গ। বাদীর ছোট পুত্র এক্ষণে মৃত আবু হানিফ ছোটন বয়স-১৫ বছর। যে ভোমরা ইউপি দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। গত ইং ১৭/০১/২০১৪ তারিখের ঘটনায় পুলিশ শহর আলী গাজীকে থরতে যায়। বাড়িতে তাকে না পেয়ে তার শিশু পুত্র আবু হানি কে আসামীরা ধরে নিয়ে যায় পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
Leave a Reply