November 10, 2024, 8:52 am
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মিথ্যা জবর দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাব আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাট করেন পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনি গ্রামের আবুল খায়ের বিশ্বাসের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এসময় তিনি তার লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৮ই আগষ্ট রবিবার দৈনিক যশোর পত্রিকায় প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ। এর আগে ১৭ আগষ্ট সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন তার আপন ভাই শহিদুল আলম, বেমাতা ভাই আরশাদ আলী, একই গ্রামের ছালাম বিশ্বাসের ছেলে জামাল বিশ্বাস এবং আবুল খায়েরের ছেলে অর্থাৎ আমি মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ আরও কিছু মানুষ মিলে তার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার জমির মূল দলিলপত্র লুটপাট করি। এছাড়া তাকে জোরপূর্বক বাড়ী থেকে তুলে স্থানীয় আদিত্য কুমারের বাড়ীতে নিয়ে তাকে অস্ত্রের মুখে ফেলে সাদা স্টাম্পে সহি করানোর চেষ্টা করি।
এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। মুজিবর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করেন, তার ভাই শহিদুল ও আরশাদ তাদের প্রাপ্ত জমি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে মুজিবরের জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে এবং শহিদুল ও আরশাদ সহ অন্যান্যরা মুজিবরকে খুন জখম সহ মিথ্যা মামলায় হড়িয়ে দেওয়ার হয়রানি চালাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৬জুন মুজিবর সাতক্ষীরা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করলে বিচারত তদন্ত পূর্বক মুজিবর রহমানের পক্ষে রায় দেন। বিচারকের রায় দেওয়ার ঘটনা সত্য হলেও মুজিবর রহমানের বয়ান সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ বিচারক তাকে ০.১৩ শতক জমি প্রাপ্ত হবেন বলে উল্লেখ করলেও বর্তমানে মুজিবর ০.৪৩ শতক জমি দাবী করিতেছে যাহা বেআইনি ও সম্পূর্ণ গায়ের জোর খাটানো ছাড়া আর কিছুই না। ২০/০৯/২০২৩ খ্রি. তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরা এর ২০৪২/২৩ নং পিটিশন মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় নালিশীকৃত সম্পত্তি ৪২ নং বাইগুনি মৌজার এস এ ৩০ নং খতিয়ানের ৭৯৯নং দাগে ০.৮৩ একরের মধ্যে ০.১৩ একর। রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় নালিশীকৃত ৭৯৯ দাগটিতে মোট জমি ১.১১ একর। যা এস এ ৩০ নং খতিয়ানে ০.৮৩ একর অজিত কুমার দিং দের নামে এবং এস এ ২৪০ নং খতিয়ানে ০.২৮ একর তারক চন্দ্র দিং দের নামে। এস.এ ৩০ নং খতিয়ানে ৭৯৯ দাগের ০.৮৩ একর জমির মধ্য হতে ইউছুপ আলী ০.২৭৬৬ একর। ফকির মোড়ল, ইনছাপ মোড়ল ০.২৭৬৬। বাবর আলী, পিং গোলাম রহমান ০.২৭৬৭ একর দখল করেন। উক্ত খতিয়ানে বাবর আলী দিং এর দখলীয় জমি হতে দানপত্র সূত্রে তিন পুত্র (১) মুজিবর রহমান, (২) রওশন আলী (শহিদুল আলম), (৩) মতিয়ার রহমান যার দলিল নং: ৫৯৯১, তারিখ: ০৬/১১/১৯৮৪, ০.১৩ একর জমি দান করেন। অপর পক্ষে বিমাতা ভাই আরশাদ ও রশিদ ৫৯৫৪ নং দলিলে ০৩/১১/৮৪ তারিখে ০.০৮৫০ একর জমি দান করেন। অপরদিকে ২য় পক্ষের এস এ ২৪০ নং খতিয়ানে ৭৯৯ নং দাগে ০.২৮ একর জমির মধ্যে আহম্মদ আলী পিং খাদেম আলী ০.১০ একর এবং রাহাতুল্ল্যা (জামাল বিশ্বাসের নানা) ০.১৮ একর ভোগ দখলে আছেন। প্রকৃতপক্ষে ১৯৬৪ সালে বিনিময় সূত্রে ৩০ নং খতিয়ানে ৩৩৫, ৭৯৯, ৮৮৪, ৩৩৪৯২১ এই ৪টি দাগে মোট ১.৪৩ একর এবং ৭৯৯ নং দাগে ১.১১ জমির মধ্যে ০.৪৩ শতক জমির মধ্যে (১) মুজিবর রহমান, (২) রওশন আলী (শহিদুল আলম), (৩) মতিয়ার রহমান ০.১৩ শতক জমি প্রাপ্ত হয়েন অপরপক্ষে মুজিবর রহমানের বেমাতা ভাই আরশাদ ও রশিদ ০.০৮৫০ একর জমি প্রাপ্ত হয়েন কিন্তু মুজিবর রহমান এখন তার প্রাপ্য ০.১৩ শতক জমির বদলে গায়ের জোরে ০.৪৩ শতক জমি দখল নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তার কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করলে বা আমাদের কাগজপত্র দাখিল করলে সে আমাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জমি দখল শিরোনামে একটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সবশেষে তিনি সংবাদ সম্মেলনের তিনি মাধ্যমে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply