March 19, 2025, 12:24 am
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামে রূপসী খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার ছতিয়ানতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিন দিন আগে তার স্বামী বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ রাতেই দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার তার স্বামী মিকাইল বিষপানে আত্মহত্যা করেন। স্বামী মৃত্যুর তিন দিনের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। মৃত্যুর পরে রূপসী খাতুনের তার হাতে কলমের কালি দিয়ে লেখা- ‘আমি স্বামীর জন্য থাকতে পারছি না। তোমরা আমার সন্তানকে দেখ। আমি গর্ভের সন্তান নিয়ে ওপারে চলে গেলাম।’ এ ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দামুড়হুদা উপজেলা কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের মিকাইল ভালোবেসে বিয়ে করেন নাটুদা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের রফিকুলের মেয়ে রুপসীকে। বিয়ের পর তাদের সংসারে আসে একটি কন্যাসন্তান। বিয়ের পর থেকেই মিকাইল ছাতিয়ানতলা গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাতিয়ানতলা গ্রাম থেকে খবর আসে মিকাইল বিষপান করেছেন। মিকাইলের মৃত্যুর খবরে তার লাশ দেখে পরিবারের সন্দেহে হয়। পরিবারের লোকজন দাবি তোলেন তার স্ত্রী তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন।
মিকাইলের ময়নাতদন্ত শেষে একদিন পর শুক্রবার দুপুরে দাফন সম্পন্ন করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর তিন দিন পর স্ত্রী রূপসী নিজ ঘরে রোববার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে সোমবার দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির জানান, মিকাইল ও রূপসী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। দুজনের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হওয়ার কারণে মিকাইল বিষপানে আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে রূপসী নিজে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হবে।
Leave a Reply