November 13, 2024, 6:54 am
মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা :সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনির উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৭টি বিলে একমাত্র ফসল হিসেবে আমন ধান দু’বছর ধরে স্থানীয় কৃষকরা ফলাতে পারছেন না। পানি নিঃষ্কাশন ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় জলাবদ্ধতার কারনে এমন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে স্থানীয় ছোট বড় জমির মালিকগন তাদের একমাত্র ফসল হিসাবে আমান ধান ঘরে তুলতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার(৮নভেম্বর) সকালে ফটিকখালী বিলে গিয়ে দেখা যায়,আমন ধান বিহীন বিলে এখনও হাটু পানি। ঘাস,চেচু,শাফলা ফুলসহ নানা আগাছা জাতীয় উদ্ভিদ বিল জুড়ে। কোথাও আমন ধানের ক্ষেত চোখে পড়ে না। এমন চিত্র খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালী, খালিয়া, রাউতাড়া, পিরোজপুর, গোয়ালডাঙ্গা, গজুয়াকাটি,দূর্গাপুর বিলে হাজার হাজার বিঘা জমি আমন ধান বিহীন দু’বছর ধরে দেখা যায়। কারন অনুসন্ধানে জানা যায়,এই বিল গুলোর পানি সরবরাহের এক মাত্র পথ ছিল কালকীর সুইজ গেট। কিন্তু পলি জমে ও কপোতাক্ষ নদ খনন কাজ চলামান থাকায় কালকীর সুইজ গেটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রূতিতে উক্ত বিলগুলো ও কিছু এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে থাকে। আমন মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে এই বিলগুলোর পানি আর কমে না। আমন মৌসুমে কৃষকরা সময়মত বীজতলা তৈরী,জমি চাষ,ধানের চারা রোপন কোন কাজই করতে পারে না। একমাত্র আমন ধান না হওয়ায় এলাকায় একদিকে যেমন কৃষকদের নানা অভাব অনটন দেখা দিয়েছে অন্য দিকে গো-খাদ্যের চরম সংকটও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক আটি বিচুলি খামারীরা মান ভেদে ৫ থেকে ৭টা দরে ক্রয় করছেন।
জলাবদ্ধতা নিরসনে জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি,সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও শেষ পর্যন্ত সেসব পদক্ষেপ আলোর মুখ দেখেনি। কৃষকদের গলার কাটা কেউ সরাতে পারে নি। সরকারিভাবে সেচ প্রকল্প চালু হলে এই জলাবদ্ধতা দূর হবে বলেও কেউ কেউ অভিমত প্রকাশ করেছেন। আবার ইউনিয়নের বিলগুলোর ভিতর সরকারি খালগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো পূনঃখনন করতে পারলে কৃষকরা বোরো ধান লাগিয়ে আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।
দ্রুত যেকোন পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
Leave a Reply