November 13, 2024, 6:49 am

আশাশুনির একাধিক মামলার আসামী শাহিনুরের দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

আশাশুনির একাধিক মামলার আসামী শাহিনুরের দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

আশাশুনি প্রতিনিধি।। আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর একসরা গ্রামের হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী শাহিনুরের দৌরাত্ম্যে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগি একসরা গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে ইব্রাহিম খলিল দিং জানান, উত্তর একসরা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে শাহিনুর এলাকায় খুন, জখম, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। তার অত্যাচারে এলাকার নিরিহ মানুষ ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে আছে। ২০০১ সালে পুলিশ সুপার তার বাড়ি থেকে বোমাসহ তাকে আটক করেন। এব্যাপারে মামলা নং ১৫ তাং ১৭/১২/০১। জিআর ৫৩৭/০১। এছাড়া শাহিনুর বল্লভপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান হত্যা মামলা ২১/০২, জিআর ১৬৮/০২ এর আসামী। মামলায় শাহীনুরসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। আসামীরা মহামান্য হাইকোর্টে আপীল (নং ৮৫৪১/০৮) করলে জামিনে আছেন। জামিনে আসার পর তাদের দৌরাত্ম আরও বেড়ে যায়। এবং মধ্যম একসরা গ্রামের মৃত পীর আলী গাজীর ছেলে কওছারকে হত্যা ঘটনায় মামলা (নং ১০৯/১৮) আসামী হয়। এরপর একই গ্রামের মৃত জব্বার গাজীর ছেলে বাবর আলীকে হত্যা করে। মামলা নং ৪, তাং ৪/৪/১৪। মামলা দুটো চলমান আছে। তারপরও শাহিনুর দিং থেমে থাকেনি। বল্লভপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর দিং জমির উপর কুনজর পড়ে তাদের। বাধ্য হয়ে মোস্তাফিজুর আদালতে দেং ১৯৮/২১ পার্টিশান মামলা করেন। মামলা চলাকালীন আদালতকে তুয়াক্কা না করে একসরা, বল্লভপুর ও রাজাপুর মৌজায় তাদের ১০.৬৪ একর জমি জবর দখলের চেষ্টা করে এবং মোস্তাফিজুরদের বিক্রয় করে দেয়া গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় বউ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে গেলে থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ গাছ আটকে দিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় যেতে বলেন। শনিবার দিন ধার্য থাকলেও শাহিনুরদের কেউ হাজির হয়নি। িব্রাহিম খলিল আরও বলেন, শাহিনুরের নামে আরও ১০/১২ টি মামলা রয়েছে। তাছাড়া ৫ আগষ্টের পরে এলাকায় যতগুলো লুটপাট, ছিনতাই ও অরাজকতার ঘটনা ঘটেছে সবগুলোর সাথে শাহিনুর জড়িত। সে বিএনপির সময় বিএনপি, আওয়ামীলীগের সময় আওয়ামীগার সেজে মিছিল, মিটিং ও সভা সমাবেশে যোগ দিয়েছে। যার ভিডিও ও ছবি আমাদের কাছে আছে। সম্প্রতি তারা আমাতেরকে হয়রানী ও মান সম্মান হানি করতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু করেছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও মিডিয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে ১৩ একর জমি ডিসিআর নিয়ে মাছ চাষ করে পানি নিস্কাশনে বাধা সৃষ্টি, সেনাবাহিনী দিয়ে তাকে আটকানো, ধান ও মাছ ধরে নেওয়ার চেষ্টাসহ যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমারা কোন জমি ডিসিআর নেইনি, মাছ চাষও করিনি। মোস্তাফিজুররা সেনাবাহিনীর কাছে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি দাবী করে অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2023 satkhirachitra.com
Design & Developed BY CodesHost Limited