November 13, 2024, 6:58 am
জামান উদ্দিন।স্টাফ রিপোর্টার :সাধারণ লেবার দিয়ে নদীতে নোঙ্গর তুলতে গিয়ে জীবন হারালো খুলনার মিজানুর রহমান। ঘটনাটি গাবুরা মেঘা প্রকল্পের আট নম্বর প্যাকেজে ঘটেছে। রহস্য উদঘাটনে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ক্ষতবিক্ষত দীপ ইউনিয়ন গাবুরা। চলমান হাজার কোটি টাকা বরাদ্দকৃত কাজে সাধারণ লেবার দিয়ে নোঙ্গর উঠাতে গিয়ে প্রাণ হারালো মিজানুর রহমান।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ খবর প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত ডুবুরি নিহত। একদল কুচুক্রি মহল সত্য ঘটনা আড়াল করতে, গণমাধ্যমকে ভুল তথ্য প্রদান করেছিল। সরে জামিন পরিদর্শনে, সত্য ঘটনা সামনে এসেছে। নিহত মিজানুর রহমান পেশাদার ডুবুরি নন।একজন লেবার মাত্র। মেগা প্রকল্প শুরুতে ৮ নম্বর প্যাকেজে বালুর বস্তা আনলোড করতে গিয়ে, পল্টন ডুবে গিয়েছিল।যে কারণবশত প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের নোঙ্গর নদীতে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্যাকেজ ম্যানেজার জুয়েল আহমেদ নির্দেশে, ডুবুরির ট্রেনিং,পোশাক ও অক্সিজেন ব্যতীত মিজানুর রহমান কে নদীতে নামানো হয়। নোঙ্গর উত্তোলনের জন্য।কিছুক্ষণ বাদে সে নদী থেকে উঠে আসে। বলে আমার শরীর ভালো লাগছে না। কোম্পানির ট্রলারে ওঠার জন্য হাত বাড়িয়ে দেন। ট্রলার মাঝি বে খেয়ালে তাকে না উঠিয়ে ট্রলার নিয়ে চলে যান। ফলশ্রুতিতে খোলপেটুয়া নদে চিরদিনের জন্য তলিয়ে যান ডুবুরি নামধারী মিজানুর রহমান। এক ঘন্টা দুই ঘন্টা নয়,পুরা দেড় দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস টিমকে খবর দেওয়া হয়। তারা উদ্ধার কার্যক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু নিহত ডুবুরি নামধারী মিজানুরের কোন সন্ধান মেলেনি। খুলনা শহরের বাসিন্দা। কোম্পানির লেবার হিসেবে কাজ করতে এসেছিল সে। দুইদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর কয়রা উপজেলার গাগরামারি চরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য তার গায়ে ডুবুরি পোশাকের বিন্দুমাত্র চিহ্ন নাই চিহ্ন নাই ।বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ম্যানেজারসহ প্রকল্প কর্মকর্তা বৃন্দ উঠে পড়ে লেগেছে। গত ২০ শে অক্টোবর জাতীয় দৈনিক বাংলার একুশ পত্রিকায় নিউজটি প্রকাশিত হয়েছে ।ধারণকৃত ছবিতে দেখা গেছে মিজানের গায়ে কোন ডুবরীর পোশাক নাই।অক্সিজেন নাই। একটা প্যান্ট পরা মাত্র। উল্লেখ করা যেতে পারে, একজন ডুবুরি হতে হলে প্রশিক্ষণ নিতে হয়।পোশাক সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রাদি নিয়েই, নদীতে সাগরে উদ্ধার কার্যক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েন তারা। এখানে ঘটেছে অন্যরকম ঘটনা। সত্য বাস্তব ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য,ম্যানেজার সহ প্রকল্প কর্মকর্তা দ্বয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ভিন্ন খাতে চালানোর ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত। সত্য কথা বলতে, বিত্তবানদের কাছে গরিবের জীবন মূল্যহীন।সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন এলাকার সুধীজনতা।
Leave a Reply