November 21, 2024, 8:32 am
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি(সাতক্ষীরা)।।অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার অতিরিক্ত পানির প্রবল বেগে আশাশুনিতে আছড়ে পড়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত এবং মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। পানির তোড়ে কমপক্ষে ৬ হাজার মে.টন বাগদা ও সাদা পানির মাছ ভেসে গেছে। এলাকার মাছ চাষীরা মাছ ভেসে যাওয়ায় হতবাক হয়ে গেছে।
দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতের ফলে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে বসতবাড়ি, রান্না ঘর, গোয়ালঘর, ফসল, মৎস্য ঘের ও পুকুর খাল বিল নিমজ্জিত হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ যখন বৃষ্টির পানিতে নাকানি চুপানি খাচ্ছে তখন মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে পার্শ্ববর্তী তালা ও সদর উপজেলার বৃষ্টি আর নদী ভাঙ্গনে জোয়ারের পানির প্লাবন। প্লাবনের পানিতে উপজেলার কাদাকাটি, কুল্যা ও দরগাহপুর ইউনিয়ন একাকার হয়ে গেছে।
সিনিয়ন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ইউনিয়ন সূত্রে জানাগেছে, এবছর আশাশুনি উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৯৭ হেক্টর জমিতে বাগদা মাছের চাষ হয়েছে। এবং ৩ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে গলদা ও সাদা মাছের চাষ করা হয়। অতি বৃষ্টি ও প্রাবনের পানিতে কুল্যা, কাদাকাটি ও দরগাহপুর ইউনিয়নের ৮০% মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। বাকী ৮ ইউনিয়নে ২০% মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, পানিতে ৬০০ মে.টন বাগদা ও সাদা মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ কোটি টাকা।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার জানান, আশাশুনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ১৬৩৬৫ টি বাগদা চিংড়ী ও ১০০১০টি সাদা মাছের ঘের রয়েছে। বাগদা ঘেরের আয়তন ১৭ হাজার ৩৯৭ হেক্টর। অতি বৃষ্টি ও পানির তোড়ে মাছের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। বিগত দিনে করোনা কালীন সময়ে যে ভাবে সহায়তা করা হয়েছিল, বর্তমানে ভেসে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের একই ভাবে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply