November 21, 2024, 10:20 am
আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি থানার সাবেক ওসি বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী, এসআই শাহিন রহমান ও এসআই ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে মুস্তাকিম হত্যাকাণ্ডের মামলা না নেওয়া হুমকি ধামকি ভয় প্রদর্শন এমনই অভিযোগ তুলেছেন, আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের গোঁদাড়া গ্রামের হত্যার শিকার মুস্তাকিমের চাচাতো ভাই গোলাম রসুল । গোলাম রসুল জানান, আমি থানায় আমার ভাইয়ের লাশের ময়না তদন্ত ও মামলা করার জন্য গেলে ওসি বিশ্বজিৎ ও এসআই শাহিন আমাকে হুমকি ধামকি ও গ্রেফতারের ভয় দেখায় । আমি ওনাদের ভয়ে এক সপ্তাহ বাড়ির বাইরে ছিলাম
পরে সাংবাদিক এস এম মহিউদ্দিন এবং গ্রামবাসী আমাকে আশ্বস্ত করলে আমি বাড়িতে আসি ।
ওসি বিশ্বজিৎ এসআই শাহিন এস আই ইমরান এই তিনজনের কারণে আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের হত্যার বিচার এখনো পায়নি । এই মামলার তদন্ত ছিল ইমরানের উপর সে গড়িমসি করেছে এবং সুষ্ঠ তদন্ত করে নাই এইজন্য আমি ওসি বিশ্বজিৎ , এস আই শাহিন এস আই ইমরানের শাস্তি দাবী করছি এতদিন আওয়ামীলীগ সরকার ছিলো এই জন্য ভয়েতে কিছু বলতে পারিনি আমার চাচা আব্দুর রাজ্জাক কারিগর, চাচি আসমা খাতুন পারুল ও শোভনালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আলকেসুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আছে বলে আমি মনে করি সুষ্ঠ তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে। সাংবাদিক মহিউদ্দিন বলেন, এই মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি আছি বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছি কিন্তু এখনো তার সুফল পায়নি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
কি কারনে বাদিকে গ্রেফতারের হুমকি ও মামলা নেওয়া লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফন করার বিষয়টি জানতে চাইলে সাবেক ওসি বিশ্বজিৎ অধিকারী জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এটি সত্য নয় ইচ্ছা প্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি মুস্তাকিমের বাবাও কাউকে দোষী করেননি এজন্য আমরা ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়েছি । এস আই শাহিন বলেন আমি ওই ইউনিয়নের বিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব ছিলাম আমি ওই মামলার আয়ু নই এবিষয়ে কিছুই জানিনা । এসআই ইমরান বলেন, থানায় প্রচলিত আইনে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এটি মিথ্যা সত্য নয় । উল্লেখ্য ১০ জুন ২০২৪ পিতা আব্দুর রাজ্জাক কারিগর এ সন্তান কলেজ পড়ুয়া মুস্তাকিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন এমন গুঞ্জন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ।
Leave a Reply