November 21, 2024, 9:01 am
মোঃ আরিফ হোসেন রনি(সাতক্ষীরা):- মুসলমানদের জীবনে অন্যতম দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদ মানে খুশি। মুসলমানদের জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদ।
ঈদুল আযহার অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’।এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ঈদগাহে গিয়ে দুই রাক্বাত ঈদুল আযহার ওয়াজিব নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা তাদের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু,ছাগল আল্লাহর নামে কোরবানি করে।
এরপর থেকেই প্রতিটা মুসলিম উৎসবের আমেজে মেতে ওঠে। ছোট বড় সবাই আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। পূর্বের সব হিংসা- বিদ্বেষ -বিচ্ছিন্নতা ভুলে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয় প্রতিটি মানুষ। ঈদ ধনী-গরিব সকল শ্রেনির মানুষের মহামিলনের বার্তা বহন করে। ঈদুল আযহা ভ্রাতৃত্ববন্ধন অটুট রাখতে উদ্বুদ্ধ করে। ত্যাগের শিক্ষা দেয়।
এ সময় দোয়া করা হয়, মাজলুম আলেম-ওলামা শহীদ ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে দোয়া করা হয় ফিলিস্তিনিসহ সকল মুসলিম দেশগুলোর নির্যাতিত নিষ্পেষিত মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য। তাই ঈদুল আযহার দিন ইসলাম ধর্মে কুরবানি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ অসহায়,গরিব, মিসকিনদের মাঝে বিতরন করা হয়।এ বিধানের মাধ্যমে ধনী-গরিব সব ভেদাভেদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সকল মানুষের মুখে হাসি ও আনন্দের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা সদরের ৬ নং ভোমরা ইউনিয়নের বাইতেখালি ঈদগাহ ময়দানে ১৭ জুন সোমবার সকাল ৭টায় ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোঃ আব্দুর রশিদ এর ইমামতিতে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরো উপস্হিত ছিলেন অত্র ঈদগাহ কমিটির সভাপতি মোঃ মোসলেম আলী, সেক্রেটারি মোঃ ফারুক হোসেন ও কমিটির সকল সদস্যগণ সহ স্থানীয় মুসল্লিরা ইমামের বয়ান শেষে ঈদুল আযহার নামাজের খুতবা শ্রবণ করেন। দোয়া ও মোনাজাতে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে দু’হাত তুলে আল্লাহর ঘর তাওয়াফ করতে যাওয়া হাজ্বী,মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির কল্যাণ, সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
Leave a Reply