গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে দেশের একটি টিভি চ্যানেলের অনলাইন। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, কুমিরটি পিরোজপুরের নদ-নদী ঘুরে আবারো ফিরে আসতে শুরু করেছে সুন্দরবনের দিকে। কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট বসিয়ে গতিবিধি লক্ষ্য করা গবেষকদের একজন আইইউসিএনের ম্যানেজার ও প্রকল্পের সমন্বয়কারী সারোয়ার আলম দীপু একথা জানিয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) ম্যানেজার ও প্রকল্পের সহকারী সারোয়ার আলম দীপু বলেন, প্রতি এক ঘণ্টা পর পর কুমিরের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারি। যখনই কুমির পানির নিচ থেকে ভেসে ওঠে তখনই এটির অবস্থার জানা যায়। ওই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মোবাইলেই আমরা তাদের অবস্থান জানতে পারি। অনেকটা জিপিএস ট্রাকিংয়ের মতো। তবে জিপিএস ট্রাকিংয়ে নেটওয়ার্ক যুক্ত থাকতে হয়, স্যাটেলাইটে নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না।
সুন্দরবন বন বিভাগের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, সুন্দরবনে অবমুক্ত করে এই প্রথম কুমির নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা কুমিরের প্রজনন, কুমিরের অবস্থান কুমিরের বাসস্থান, কুমিরের খাদ্য সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা পাবো। এর মধ্যমে সুন্দবনের লবন পানিতে কিংবা অন্য স্থানে কুমিরের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সঠিক প্রয়োগ করতে পারবো।
উল্লেখ্য, দুটি পুরুষ কুমির এবং দুটি স্ত্রী কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে গত ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে এ সময়টাতে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে দেয়া হয়ে ছিল।
Leave a Reply