November 21, 2024, 8:33 am
দেশ ছাড়ার আগে স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাইয়ের শাখায়। সেখানে যাওয়াই কাল হলো মোবারকের। পরিবারের পাঁচজনের সবাই এখন লাশ।
কিছুদিন আগে ইতালিতে গ্রিন কার্ড পেয়ে সবাইকে সেখানে নিয়ে যেতে দেশে আসেন মোবারক হোসেন। ভিসা-পাসপোর্ট সব রেডি। পুরো পরিবার নিয়ে ১০ মার্চ ইতালি যাওয়ার কথা ছিল সৈয়দ মোবারক হোসেনের।
শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই পরিবারের পাঁচজনের লাশ বুঝে নিতে এসে এ কথা বলেন মোবারকের দুলাভাই সৈয়দ গাউসুল আজম।
দুলাভাই বলেন, মোবারক বেশ কয়েক বছর ধরে ইতালিতে প্রবাসী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়; দুই মেয়ে সৈয়দা কাসফিয়া, সৈয়দা নূর এবং ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহকে নিয়ে মোবারকের স্ত্রী স্বপ্না থাকতেন ঢাকার মধুবাগে।
কিছুদিন আগে ইতালিতে গ্রিন কার্ড পেয়ে সবাইকে সেখানে নিয়ে যেতে দেশে আসেন মোবারক হোসেন। তাদের ইতালি যাওয়ার ফ্লাইট ছিল ১০ মার্চ।
সৈয়দ গাউসুল আজম বলেন, ভিসা-পাসপোর্ট সব রেডি। যাওয়ার আগে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করতে কাচ্চি ভাইয়ে গিয়েছিল। মোবারক তার ছোট ভাইকেও যেতে বলেছিল। গেলে হয়ত আজকে তাকেও লাশ হয়ে ফিরতে হতো।
তিনি বলেন, আমি শুনেছি সিঁড়িতে নাকি সিলিন্ডার গ্যাস রেখেছে। এগুলোর বিস্ফোরণে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আমি আশা করব, এগুলো নিয়ে সরকার যেন কঠিন পদক্ষেপ নেয়, যাতে আর কোনো পরিবারের এমন ক্ষতি না হয়।
সবাইকে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাফন করা হবে বলে জানান গাউসুল আজম।
Leave a Reply