December 22, 2024, 5:59 am

‘বাবা আমাকে বাঁচাও’— বুয়েটের লামিসার শেষ কথা

‘বাবা আমাকে বাঁচাও’— বুয়েটের লামিসার শেষ কথা

বাবা আমি আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছি, বাবা আমাকে বাঁচাও’- এই ছিল বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী লামিসা ইসলামের শেষ কথা। পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে লামিসার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। মা-হারা লামিসাকে উদ্ধারে তার বাবা পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি নাসিরুল ইসলাম শামীম নানা চেষ্টা করেও মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি।

লামিসার মায়ের আশা ছিল তার মেয়ে বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করবে। মায়ের ইচ্ছাতেই তিনি বুয়েটে ভর্তি হন; কিন্তু মায়ের সেই আশা আর পূরণ হলো না।

লামিসা ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরে এখনো চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লামিসার লাশ শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়িতে এসে পৌঁছলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। লামিসার স্বজনরা লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বাদ জুমা শহরের চকবাজার জামে মসজিদে লামিসার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে লামিসাকে ফরিদপুর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

লামিসার চাচা রফিকুল ইসলাম সুমন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মগবাজারের পুলিশ কোয়ার্টারের বাসা থেকে বান্ধবীকে নিয়ে খাবার খেতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যায় লামিসা। রাতে আগুন লাগার পর লামিসা তার বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে- সে আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছে। তাড়াতাড়ি তাকে উদ্ধারের কথা জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করেও তাকে ফোনে পায়নি। ভবনের ভেতরে আগুনে দগ্ধ হয়ে বান্ধবীসহ সে মারা যায়।

লামিসা বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তারা বাবা নাসিরুল ইসলাম শামীম পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি পদে কর্মরত রয়েছেন। নাসিরুলের দুই কন্যার মধ্যে লামিসা ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। লামিসার মা ২০১৫ সালে মারা যান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2023 satkhirachitra.com
Design & Developed BY CodesHost Limited