
ডেস্কঃ
বঙ্গবাজারের অন্তত ১৫ জন দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগুনে ব্যাংকের চেক, মালামাল কেনা, বিক্রির রসিদসহ ব্যবসাসংশ্লিষ্ট নানা কাগজপত্র পুড়ে গেছে।
আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মোর্শেদ আলম নামের এক ব্যবসায়ী পুড়ে যাওয়া দোকানের সামনে যান। তবে আগুনে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কোনটি তাঁর নিজের দোকান, সেটা বুঝতে পারছিলেন না। তিনি কয়েকটি দোকানের পুড়ে যাওয়া ক্যাশ বাক্স খুলে দেখান, টাকা আর কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত আরও বেশ কয়েকজন দোকানমালিককে এসে পুড়ে যাওয়া ক্যাশ বাক্সগুলো খুলে দেখতে দেখা যায়। লোহার বাক্সগুলো থেকে পোড়া টাকার বান্ডিল বের করে হাহাকার করছিলেন তাঁরা। এ সময় আকরাম নামের এক তরুণ কয়েকটি সিন্দুক খুলে পোড়া জিনিসপত্র হাতে নিয়ে বলেন, ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব, ব্যাংকের চেক, মালামাল বিক্রির তথ্য, টাকা সবই থাকে সিন্দুকে। এই আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। সরকার যেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করে সহায়তার হাত বাড়ায়, সে জন্য অনুরোধ জানান মোর্শেদ আলম। আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রনি বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে এই দোকান দিয়েছি। এই আগুন আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমার ২৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। সরকার যদি একটু সহযোগিতা করে, তাহলে হয়তো আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’