ধুলিহর প্রতিনিধি:- সুপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অতি বৃষ্টি ও নদীর তলদেশ উঁচু হওয়ায় জোয়ারে বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের দামারপোতো, বড়দল, জেয়ালা, বালুইগাছা, মাটিয়াডাঙ্গা, পূর্ব সানাপাড়াসহ একাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির কারণে ১০০(১ শত) এর বেশি কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে পানিতে মিশে গেছে। আর ঐ বাড়ির সকল সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে বাঁশের মাচান করে তার উপর অনাহারে, অর্ধহারে তাদের মানবেতর জীবন যাপন দিনাতিপাত করছে। অনেকে আবার তার কোলের শিশু সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছে। চারিদিকে পানি থাকায় পানি বাহিত রোগ যেমন ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ ব্যপারে পানি বন্ধী অসহায় ব্যক্তিরা কান্না ভরা চোখে, বুক চাপড়ানো আর্তনাদ করে বলতে থাকে আমরা কয়েকদিন যাবত পানি বন্ধী হয়ে জীবিত আছি কি মারা গেছি সেটা খবর নেওয়ার কোন প্রয়োজন হয়নি সরকারী বা বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের। এমনকি সরকারী কোন অনুদান এই পর্যন্ত আমাদের কপালে জোটেনি। আর স্বাস্থ্য সেবাতো দূরের কথা। এমতাবস্থায় ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান পানি বন্ধী অসহায় মানুষের পাশে সর্বদা নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার নেতৃত্বে নদীর পানি ছাপিয়ে এলাকায় প্রবেশ পথে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে বাঁধ দিয়ে ও পানি কিছুটা হলেও নিষ্কাশনের জন্য বেতনা নদীর পলি স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে অপসারণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। পানি বন্ধী অসহায় মানুষের জন্য ও পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারী কোন অনুদান পেয়েছেন কিনা না? এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, সরকারী ১ টন চাউল পেয়েছি। কিন্তু পানি বন্ধী অসহায় শত শত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ না হওয়ায় সেটা ইউনিয়ন পরিষদে রাখা আছে। সরকারী ভাবে আরও কিছু অনুদান পেলে সকলের জন্য কিছু করা যাবে এই প্রত্যাশা করছি। তাই অসহায় পানিবন্ধী মানুষের দাবি সাংসদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন দাতা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে অতি দ্রুত এক মুঠো ভাত ও পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here