
রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে লাগা আগুনে পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এখানে পাঁচ হাজারের বেশি দোকান ছিল। সব পুড়ে শেষ। কেউ কিছুই বের করতে পারেনি। সামনে ঈদ, তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই, ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হোক।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমরা এখন কী করব, আমাদের ব্যবসায়ীরা এখন কোথায় যাবে, কীভাবে ঈদ করবে। মাত্র ব্যবসা জমতে শুরু করেছিল। আর তখনই এই ঘটনা ঘটল।
হেলাল উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাদের কষ্ট দেখেছি। আমরা চাইলে এই বাহিনীটিকে আরও এগিয়ে নিতে পারি। ভূমিকম্প থেকে মানুষ দৌড়ে বাঁচতে পারে, কিন্তু আগুনের হাত থেকে বাঁচা সম্ভব না। আমাদের অনুরোধ ফায়ার ফাইটারদের আরও এগিয়ে নিতে হবে।
ঢাকা মার্কেটের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান জানান, পুরো মার্কেটে সাত হাজার দোকান ছিল। ছয়টি ভাগে এসব দোকান গড়ে উঠেছিল। আগুনে বঙ্গমার্কেট পুরোটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। আগুন নেভানোর পর সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি জানা সম্ভব হবে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে মোট ছয়টি মার্কেটের পাঁচ থেকে ছয় হাজার দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছেন বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো অবস্থা নেই। সব পুড়ে গেছে। ১০ হাজার মানুষ কর্মরত ছিলেন। ঈদের আগে সব দোকানে মালামাল তোলা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাবে না।’
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এর পাশেই ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতর হওয়ায় সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পেয়ে দুই মিনিটের মাথায় ৬টা ১২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রথম ইউনিট। একে একে যোগ দেয় ৪৮টি ইউনিট। পানির সংকট ও তীব্র বাতাসের ফলে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরে নেভেনি।